দাম্পত্য অভিযোজন মূল্যায়নের মানদন্ড
বৈবাহিক উপযোজনের ক্ষেত্রে কোনো একটি নির্দিষ্ট ধরনের সন্তোষজনক জীবন পদ্ধতি নেই। বিবাহের সফলতা নির্ভর করে এটি পুরো পরিবারকে সন্তুষ্টি প্রদান করতে পেরেছে কিনা তার উপর, শুধু দু-একজন সদস্যকে নয়।
উদাহরণস্বরূপ: একজন ব্যক্তি যিনি জীবনে সুখী হতে চান তার চাকরিজীবনে সফলতার মাধ্যমে কিন্তু অনুভব করেন যে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য তাকে তার সাফল্য অর্জন থেকে দূরে রাখছে যার কারণ এর ফলে সে বিবাহিত জীবনে অসন্তুষ্ট থাকবে এবং বিবাহের ক্ষতি হবে।
সফল বৈবাহিক উপযোজনের মানদন্ড
বিবাহের সফলতা প্রতিফলিত হয় কিছু আন্তঃব্যক্তিগত সম্পর্ক ও আচরণগত ধরনের মধ্য দিয়ে। যখন এটি পরিবর্তিত হয়, বিভিন্ন মানুষের জন্য এবং বিভিন্ন বয়সের বিয়ের জন্য এ ভিন্ন অংশগুলো পরিমাপ করা হয় উপযোজনের জন্য যেকোনো বিবাহের নির্ণায়কগুলোক নিম্নরূপ:
১. স্বামী ও স্ত্রী সুখ:
যে সকল স্বামী ও স্ত্রী নিজেদের সুখী মনে করে তারা তাদের ভূমিকা থেকে যা তারা পালন করে সন্তুষ্ট থাকে। তাদের একে অপরের প্রতি রয়েছে একটি স্থায়ী ও পরিণত ভালোবাসা। তাদের ভালো যৌন উপযোজনা থাকে এবং পিতৃত্ব-মাতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণে তারা সচেষ্ট।
২. পিতামাতা ও সন্তানের সুসম্পর্ক:
পিতামাতার ও সন্তানের উত্তম সম্পর্ক বৈবাহিক উপযোজনকে প্রতিফলিত করে। যদি পিতামাতা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে পরিবারের পরিবেশটি হবে সাংঘর্ষিক। ফলে বৈবাহিক উপযোজনটি কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
৩. বাচ্চাদের উত্তম উপযোজন:
যে সব বাচ্চা সহজে অভিযোজিত হতে পারে তারা তাদের বন্ধুদের অনেক পছন্দের হয় এবং স্কুলে সফল ও সুখী হবার ক্ষেত্রে প্রমাণ হলো তাদের পিতামাতার উত্তম বৈবাহিক উপযোজন ও পিতৃত্বমাতৃত্বের ভূমিকা।
৪. মতবিরোধ সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি করার দক্ষতা:
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ বা মতানৈক্য দেখা দিলে তা তিনটি প্রক্রিয়ায় যে কোনো একটি দিয়ে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হয়- যথা:
- কোনো নিষ্পতি ব্যতীত যুদ্ধবিরতি দিয়ে সাময়িক সন্ধিস্থাপন।
- একজন ব্যক্তি শান্তির জন্য পরাজয় স্বীকার করে নিতে পারে।
- পরিবারে সকল সদস্য অভিযোগকারীর অভিযোগ সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করে মতবিরোধের নিষ্পতি করে থাকে।
দীর্ঘকালে, শেষটাই সন্তোষজনক উপযোজনের দিকে ধাবিত করতে পারে। যদি প্রথম দুটি ধাপ সাহায্য করবে দুশ্চিন্তা কমাতে, যা থেকে সংঘর্ষ উদ্ভব হয়।
৫. একত্রে থাকা:
যখন বৈবাহিক উপযোজন সফল হয়। পরিবারের সবাই একত্রে থাকার সময়টাকে উপভোগ করে। বিয়ের প্রথম ও গাঠনিক বছরগুলোতে যদি একটি ভালো পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাহলে পুরুষ ও নারী তাদের পরিবারের সাথে থাকায় চেষ্টা করবে।
৬. উত্তম আর্থিক উপযোজন:
অনেক পরিবারে, অর্থ হচ্ছে একটি অন্যতম সংঘাত ও প্রত্যাখ্যানের উৎস। আয়, অগ্রাহ্য করে, একটি পরিবার শিখতে পারে খরচের বাজেট করতে ও প্রতিনিয়ত ঋণকে বাদ দিতে এবং যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে, যারা এগুলো করে থাকে তারা যার স্ত্রী প্রতিনিয়ত স্বামীর আয়ের ক্ষমতা নিয়ে দোষারূপ করে এবং আয় বৃদ্ধির জন্য চাকরি করে তাদের চেয়ে ভালোভাবে অভিযোজিত হতে পারে।
৭. শ্বশুরালয়ে উত্তম উপযোজন:
স্বামী ও স্ত্রী যারা তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন যেমন: পিতামাতা, ভাই ও বোনদের সাথে ভালভাবে থাকতে পারে তাদের সম্পর্কটি কম সাংঘর্ষিক হয় অন্যান্যদের তুলনায়। উপসংহার: বয়ঃপ্রাপ্তিকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোজনমূলক কাজ হলো দাম্পত্য অভিযোজন। উত্তম দাম্পত্য অভিযোজনের উপর নির্ভর করে পাবিরবারিক সুখ-শান্তি।