সিজোফ্রেনিয়া কি?

সুইজারল্যান্ডের মনোচিকিৎসক ইউজেন ব্লয়েলার (১৯১১) গ্রিক 'Split' শব্দ এবং 'mind' থেকে সিজোফ্রেনিয়া শব্দটি উদ্ভাবন করেছিলেন। Split শব্দের অর্থ খণ্ডবিখণ্ড এবং mind শব্দের অর্থ মন। সিজোফ্রেনিয়াগ্রস্ত রোগী বাস্তব জগতের বিভিন্ন ঘটনাবলি থেকে দূরে সরে যায়।

সিজোফ্রেনিয়া: 

সিজোফ্রেনিয়া গোলাযোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সব রকম মনোদৈহিক কার্যকলাপের অবনতি ঘটে। ব্যক্তির চিন্তন, আবেগ ও আচরণ লক্ষণীয়ভাবে ত্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়ে। অল্প বয়সে এরূপ গোলাযোগের উৎপত্তি হয় বলে আগে এ রোগটিকে 'অপরিণত বয়সের চিত্তবিনাশ' নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে যে এ ধরনের গোলযোগ যে কোনো বয়সেই ঘটতে পারে। তবে সাধারণত যৌবনের প্রারম্ভ কালেই এ রোগের উৎপত্তি বেশি হয়। সিজোফ্রেনিয়াকে অনেকে ভুল করে বহুমুখী ব্যক্তিত্বের (Multiple Personality) সাথে একত্র করেন। সিজোফ্রেনিয়াগ্রস্ত রোগীর একটি মাত্র ব্যক্তিত্ব থাকে। কিন্তু এ রোগীর মানসিক অবস্থা প্রায়শই দারুণভাবে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে।

উপসংহার: 

সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল প্রকৃতির মানসিক ব্যাধি। এ ব্যাধির চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়া উপায় থাকে না। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা খুব উগ্র, উত্তেজিত এবং আক্রমণাত্মক আচরণ করতে পারে। এসব রোগীর চিন্তার ক্ষেত্রে অস্বভাবিতা দেখা যায়, তাদের মধ্যে ভ্রান্ত বিশ্বাস ও অলীক প্রত্যক্ষণ বেশি কাজ করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url