স্কুল ও শিক্ষা মনোবিজ্ঞান
স্কুল ও শিক্ষা মনোবিজ্ঞান (School and Educational Psychology)
উপদেশনা মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ওপর অভীক্ষা প্রয়োগ করে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন তাঁদেরকেই স্কুল মনোবিজ্ঞানী বলা হয়। মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা প্রয়োগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীর বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব অথবা আচরণজনিত সমস্যার স্বরূপ নির্ণয় করা হয়। যেসব ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়ার ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেয়ার প্রয়োজন হয় স্কুল মনোবিজ্ঞানী তাদের ওপর কাজ করেন। তিনি নির্ধারণ করেন কোন ছাত্রকে তার লেখাপড়া বা অংক কষার অসুবিধা দূর করার জন্য তাকে বিশেষ ক্লাসে যোগদান করতে হবে কি-না। যেসব ছাত্রছাত্রীর সংগতিবিধানের অসুবিধা আছে স্কুল মনোবিজ্ঞানী তাদের বিশেষ ধরনের উপদেশনা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা ও আচরণজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের পিতামাতা বা অভিভাবককেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রী ভর্তির জন্য যেসব অভীক্ষা প্রয়োগ করা হয় সেগুলিকে মূল্যায়ন ও প্রয়োগের জন্য মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা হয়। অনেক স্কুল মনোবিজ্ঞানী ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পেশা নির্বাচনে উপদেশনা দিয়ে থাকেন। মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে যাঁরা অভীক্ষা তৈরি ও তার প্রয়োগে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছেন কেবলমাত্র তাঁরাই এ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। বাস্তব ক্ষেত্রে স্কুল মনোবিজ্ঞানী ও স্কুল উপদেষ্টার মধ্যে কোন সুনির্দিষ্ট পার্থক্য নেই।
শিক্ষা মনোবিজ্ঞানীরা মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে তাঁদের জ্ঞানকে শিশুর শিক্ষণ ও শিক্ষকের শিক্ষাদান ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে শিক্ষণকে ফলপ্রসূ করার চেষ্ট করেন। তাঁরা শিক্ষার্থীর লেখাপড়া সংক্রান্ত সাধারণ সমস্যার সমাধান দেন। কিভাবে প্রেষণা সহযোগে শিক্ষণকে ফলপ্রসূ করা যায়, কি পদ্ধতিতে শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা সহজে এবং দ্রুত শিক্ষণীয় বিষয় আয়ত্ত করতে পারে, শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে বয়স অনুযায়ী পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, ছাত্র এবং শিক্ষকের কাজের মূল্যায়ন, কি পদ্ধতিতে শিক্ষা দিলে শিক্ষণের দ্রুত সঞ্চালন সম্ভব ইত্যাদি নানাবিধ মৌলিক সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে নতুন নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন।