অস্বভাবী আচরণ অনুধ্যানে সংশ্লেষণ পদ্ধতি কী?
সংশ্লেষ-গবেষণায় গবেষণাকারী পরিবেশকে ম্যানিপুলেট করে না বা করতে পারে না এবং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন অবস্থায় দৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় না। প্রাকৃতিকভাবে সংঘটিত বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে সম্পর্কের মূল্যায়ন করা যায় উপযুক্ত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সংশ্লেষ-গবেষণার দ্বারা।
সহপরিবর্তন পদ্ধতি/সহ-সম্পর্ক/সংশ্লেষ-পদ্ধতি (Correlation Methods):
দুটি চলকের মধ্যে যদি এমন সম্পর্ক থাকে যে একটির পরিবর্তনে অন্যটি পরিবর্তিত হয়, তবে তাদের এই সম্পর্ককে অর্থাৎ দুটি চলকের মধ্যে একই সাথে পরিবর্তিত হওয়ার প্রবণতাকে সংশ্লেষ বলে, যেমন ধূমপানের সাথে হৃদরোগের সম্পর্ক বিদ্যমান। যারা বেশি ধূমপান করে তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আবার যারা ধূমপান কম করে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ধূমপান ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ককে সংশ্লেষ বা সহসম্পর্ক বা সহসম্বন্ধ বলে।
সহপরিবর্তন পদ্ধতি/সহ-সম্পর্ক/সংশ্লেষ-গবেষণার মূল্যায়ন (Evaluation of Correlation Research):
কঠোর ভাষায় বলা যায় যে, এই সংশ্লেষণ বা সহ-সম্পর্ক প্রকৃতপক্ষে কোনো গবেষণা-পদ্ধতি নয়। কিন্তু এটা একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে তথ্যকে বিশ্লেষণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি এমন একটি গবেষণা করা হয় যেখানে দেখা হবে যে টেলিভিশনে সংঘাতমূলক অনুষ্ঠান দেখার ফলে কৈশোর বয়সে বাচ্চাদের মধ্যে সাংঘর্ষিক আচরণ দেখা যায় কিনা। অপরদিকে এই সংশ্লেষণ-পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী বুদ্ধিমত্তার গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে দেখা হচ্ছে শিশুর আই কিউ-এর সাথে অভিন্ন এবং ভিন্ন যমজদের মধ্যে কোনোরকম সম্পর্ক আছে কিনা। এই ধরনের গবেষণায় কৃত্রিমতা কোনো সমস্যা নয়, এবং সাধারণীকরণ বা বাহ্যিক যথার্থতা অনেক ভালো মানের হয়। তাই সংশ্লেষ-গবেষণা-পদ্ধতির সাহায্যপ্রাপ্ত তথ্যের বাহ্যিক যথার্থতা এবং সাধারণীকরণ অনেক বেশি উত্তম হয়।
উপসংহার:
কোনো পরীক্ষণ ছাড়া, আমরা দুইটি চলকের মধ্যে কোনো সম্পর্কের বিষয় জানতে পারি না। কারণ আমরা অনিশ্চিত কোনটি পূর্বগামী চল এবং কোনটি প্রভাববিস্তারকারী চল। এইভাবে, সংশ্লেষ-গবেষণা-পদ্ধতিসমূহের অভ্যন্তরীণ যথার্থতা নিম্নমানের বলে প্রতীয়মান হয়।